D3 Mega Campaign is coming! Look at this great deal!
Hurry! Amazing deals on Daraz!

অর্থ-সম্পদের বিনাশ আছে ,কিন্তু জ্ঞান -সম্পদ কখনো বিনষ্ট হয় না ভাবসম্প্রসারণ। কৌণিক বার্তা

Advertisement


 অর্থই অনর্থের মূল ভাবসম্প্রসারণ

সুতরাং যে ভাব বা Idea সংক্ষেপে বা ইঙ্গিতে করা হয়েছে , তাকেই বিস্তৃত করে প্রকাশ করাকে ভাবসম্প্রসারণ বলা হয় ।

ভাব - সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত নিয়মাবলি অনুসরণযোগ্য :

১ . প্রদত্ত চরণ বা গদ্যাংশটি একাধিকবার মনোযোগসহকারে পড়তে হবে । লক্ষ্য থাকবে প্রচ্ছন্ন বা অন্তর্নিহিত ভাবটি কী , তা সহজে অনুধাবন করা । 

২ . অন্তর্নিহিত মূলভাবটি কোনো উপমা , রূপক - প্রতীকের আড়ালে আছে কিনা তা বিশেষভাবে লক্ষ করতে হবে । মূলভাবটি যদি রূপক প্রতীকের আড়ালে প্রচ্ছন্ন থাকে , তবে ভাব - সম্প্রসারণের সময় প্রয়োজনে অতিরিক্ত অনুচ্ছেদ - যোগে ব্যাখ্যা করলে ভালো হয় । 

৩ . মূলভাবকে বিশদ করার সময় সহায়ক দৃষ্টান্ত , প্রাসঙ্গিক তথ্য বা উদ্ধৃতি ব্যবহার করা সংগত । এমনকি প্রয়োজনে ঐতিহাসিক , পৌরাণিক বা বৈজ্ঞানিক তথ্যও উল্লেখ করা যায় । তবে ভুল বা অপ্রাসঙ্গিক তথ্য , উদ্ধৃতি দেওয়ার চেয়ে না দেওয়াই ভালো । 

৪. সহজ - সরল ভাষায় , সংক্ষেপে ভাবটি উপস্থাপন করা উচিত । প্রয়োজনে যুক্তির দ্বারা তাৎপর্যটি উদ্ধার করতে হবে ।

৫. ভাব - সম্প্রসারণ করার সময় মনে রাখতে হবে , যেন বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি না ঘটে । বারবার একই কথা লেখা ভাব - সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে দোষণীয়




মূলভাব : জ্ঞানের সাথে ধনের কোনো তুলনা নেই । প্রকৃত বিচারে অর্থবিত্তের চেয়ে জ্ঞানের মূল্য অনেক বেশি ।

সম্প্রসারিত ভাব : মানুষের ধন বা সম্পদকে দু'ভাগে ভাগ করা যায় । যেমন— বস্তুগত সম্পদ বা অর্থবিত্ত এবং হূদয়ের ঐশ্বর্য বা জ্ঞানের মহিমা । অনেক সময় আমরা ধন বড় না জ্ঞান বড় এমন বিতর্কেও জড়িয়ে পড়ি এবং স্বাভাবিকভাবে রায় চলে যায় অর্থ - সম্পদের দিকে । তার অবশ্য বাস্তব ভিত্তিও আছে । কেননা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অর্থের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি । অর্থ দিয়েই সমস্ত বস্তুগত চাহিদা পূরণ করা যায় । অর্থের সামাজিক উপযোগ আছে । আছে নগদ মূল্যও । সেজন্যই অর্থ দিয়ে আমরা ব্যক্তি ও সমাজজীবনে মানুষের অবস্থানকে নির্ণয় করে থাকি । কিন্তু একথা সত্য , অর্থ - সম্পদ কেবল মানুষের বাইরের দিকটাকেই প্রকাশ করে । তাছাড়া অর্থ অনেক ক্ষেত্রে অনর্থের কারণ হয়ে দাঁড়ায় । পৃথিবীর সকল দ্বন্দ্ব - সংঘাতের পেছনে রয়েছে অর্থের অবদান । অর্থ - সম্পদ যতই শক্তির অধিকারী হোক , জ্ঞান - সম্পদের কাছে তা নিষ্প্রভ । সত্যিকারের জ্ঞানী ব্যক্তি বিত্তশালী লোকের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিমান । অর্থ - সম্পদের কোনো স্থায়িত্ব নেই । সম্পদশালী জমিদারও যেকোনো সময় নিঃস্ব হয়ে যেতে পারেন । কিন্তু একজন জ্ঞানী ব্যক্তির জ্ঞান কোনো কারণেই খোয়া যায় না । জ্ঞানের কোনো অপমৃত্যু ঘটে না ; বরণ প্রতি মুহূর্তে জ্ঞানী ব্যক্তি জ্ঞানের দীপ্তিতে সজীব - সুন্দর হয়ে উঠেন । কালের বিবর্তনে বিত্তবানের ধনভাণ্ডার এক সময়ে নিঃশেষ হয়ে আসে , কিন্তু বিদ্বানের জ্ঞানভাণ্ডার ক্রমাগত সমৃদ্ধ হতে থাকে । তাই অর্থ - সম্পদ নয় , জ্ঞান - সম্পদের মাপকাঠিতে মানুষের মূল্যায়ন হওয়া উচিত । কারণ অর্জিত অর্থ নিঃশেষ হয়ে যায় , কিন্তু অর্জিত জ্ঞান চিরস্থায়ী এর কোনো বিনাশ নেই । মহানবী ( স ) তাই জ্ঞানীর কলমের কালিকে শহীদের রক্তের চেয়েও পবিত্র বলেছেন । তিনি দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত মানুষকে জ্ঞানার্জনের উপদেশ দিয়েছেন । অর্থের প্রয়োজনীয়তাকে মেনে নিয়েও আমাদের উচিত জ্ঞান সাধনায় ব্রতী হওয়া । কেননা , জ্ঞানের কোনো বিনাশ নেই । জ্ঞা অর্থের সমন্বিত প্রাচুর্য একজন মানুষকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দিতে পারে ।


নিচে গিয়ে ভাবসম্প্রসারণ এর সম্পূর্ণ তালিকা দেখুন।

আপনাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে এবং আপনাদের ইংরেজি ভাষা পড়া ও চর্চা করার জন্য আত্মশক্তি 
 অর্থ-সম্পদের বিনাশ আছে ,কিন্তু জ্ঞান -সম্পদ কখনো বিনষ্ট হয় না ভাবসম্প্রসারণ ভাবসম্প্রসারণটি ইংরেজি ভাষাতে লেখা হয়েছে নিচে তা ইংরেজি অনুবাদ দেওয়া আছে। আপনি সেখান থেকে পড়তে এবং কপি করতে পারবেন, ধন্যবাদ। 




এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

Next Post Previous Post
মন্তব্যগুলো দেখান
মন্তব্যগুলো যোগ করুণ

আপনার মূল মান মতামতটি আমাদের জানান। আমি শালীন ভাষা ব্যাবহার করবো এবং অশ্লীল ভাষা ব্যাবহার থেকে বিরত থাকবো। কৌণিক বার্তা.কম আপনার আইপি অ্যাড্রেস ব্লকের ক্ষমতা রাখে।

comment url