৮ম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট ৬ষ্ঠ সপ্তাহের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উত্তর ২০২২, অষ্টম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ সপ্তাহ
৮ম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ৬ষ্ঠ সপ্তাহের ২০২২ |
৮ম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উত্তর ৬ষ্ঠ সপ্তাহের ২০২২, Class 8 ict Assignment 6th week Answer 2022
২০২২ সালের ৭ম শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের জন্য ৬ষ্ঠ সপ্তাহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এসাইনমেন্ট প্রশ্ন প্রকাশিত হয়েছে। ২০২২ সালের ৮ম শ্রেণি পরীক্ষার্থীরা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উত্তর। অষ্টম শ্রেণীর ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উত্তর
চলমান Covid-19 মহামারীর কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক পুনর্বিন্যাস কৃত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রমে পুরোপুরি সম্পৃক্তকরণ ও ধারাবাহিক মূল্যায়ন এর আওতায় আনার জন্য ৬ষ্ঠ সপ্তাহের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হয়েছে। ৬ শে ফ্রেরুয়ারি ২০২২ থেকে ৭ম সপ্তাহের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম শুরু হবে।
৮ম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উত্তর ৬ষ্ঠ সপ্তাহের ২০২২, Class 8 Assignment ICT Answer 6th week 2022
শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তিতে সারা দেশের সকল শিক্ষাব্যবস্থা বিভিন্ন পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সারা দেশের সকল শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ শে ফ্রেরুয়ারি ২০২২ তারিখ অষ্টম শ্রেণীর এসাইনমেন্ট আইসিটি ৬ষ্ঠ সপ্তাহের প্রকাশতি হয়েছে। আমাদের ওয়েবসাইটে কৌণিক বার্তা অ্যাসাইনমেন্ট এর নমুনা উত্তর প্রকাশিত হয়েছে। এই উত্তর দেখে শিক্ষার্থীরা এসাইনমেন্ট এর সমাধান কিভাবে করতে হবে সে সম্পর্কে ধারনা পাবেন। ৮ম শ্রেণির ৬ষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নমুনা হিসেবে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
৮ম শ্রেণির ৬ষ্ঠ সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সমাধান ২০২২, class 8 6th week Assignment ICT Answer 2022
৮ম (অষ্টম) শ্রেণির এর শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশিত হয়েছে। ৮ম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ সপ্তাহের উত্তর ও প্রশ্ন সম্পর্কে প্রকাশিত করা হয়ে থাকে জাহান বাংলা নিউজ ওয়েবসাইট। ২০২২ সালে ৮ম (অষ্টম) শ্রেণীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসািনমেন্ট ৬ষ্ঠ সপ্তাহের উত্তর যে সকল পরীক্ষার্থী বিদ্যালয়ে সকল বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তাদের জন্য। সকল বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বিজ্ঞান সম্পর্কে এবার এসাইনমেন্ট প্রকাশিত হয়েছে। ৮ম শ্রেণীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান আমাদের ওয়েবসাইটে নমুনা উত্তর হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে।
অষ্টম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ সপ্তাহ ২০২২ শিখনফল, class 8 ICT 6th Week Assignment Answer 2022
২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ ও মূল্যায়ন নির্দেশনা
৮ম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট ৬ষ্ঠ সপ্তাহের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উত্তর ও প্রশ্ন ২০২২, Class 8 Assignment 6th Week ICT Answer 2022
৮ম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট ৬ষ্ঠ সপ্তাহের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উত্তর ও প্রশ্ন |
৮ম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২, class 8 ICT 6th Week Assignment Answer 2022
অষ্টম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উত্তর ৬ষ্ঠ সপ্তাহ ২০২২, class 8 2022 Assignment ICT answer 6th Week
৮ম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট ৬ষ্ঠ সপ্তাহ উত্তর ২০২২
বিষয়ঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অ্যাসাইনমেন্ট নং : ০১
শিরোনামঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট - ১ এবং তথ্য প্রযুক্তিতে ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন।
তারিখ : --- / ১৫ / ২০১২ ইং
বরাবর ,
প্রধান শিক্ষক হাজী সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয় কুমিল্লা ।
বিষয় : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ এবং তথ্য প্রযুক্তিতে ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন ।
জনাব ,
সূত্র : আদেশ নং ১২ / ২২ ইং
যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে , আপনার সদয় অবগতির জন্য আমার নিম্নলিখিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ এবং তথ্য প্রযুক্তিতে ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন। শীর্ষক প্রতিবেদনটি পেশ করছি।
( ক ) নং প্রশ্নের উত্তর
যোগাযোগের ধারণা :
কমিউনিকেশন হয়- একটি বহুমুখী , গঠন ও মানুষের মধ্যে পরিচিতি প্রতিষ্ঠার জটিল প্রক্রিয়া এটা তোলে মোট যৌথ কার্যক্রম প্রয়োজনীয়তার দ্বারা উৎপন্ন হয় , এবং এছাড়াও তথ্য বিনিময় একটি একক কৌশল বিকশিত বা যোগাযোগ করছেন বোঝার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যোগাযোগের ধরনের যোগাযোগের ২ ধরনের আছে :
মৌখিক : এই আলাপন , যা মানুষের মধ্যে যোগাযোগের শব্দ , বাক্য মাধ্যমে ঘটে। এই প্রজাতি যা আমরা দৈনন্দিন মুখে মুখে বা লেখা ব্যবহার , কিন্তু একরকম আমরা শব্দের মধ্যে শব্দসমূহ যোগ করুন , এবং তাদের কাছ ও আমাদের প্রতিটি ধারনা অনুধ্যায়ী একটি সম্পূর্ণ আটারেন্সকে তৈরি করুন।
Nonverbal : যোগাযোগের এই ধরনের তাদের আবেগ প্রকাশ একটি উপায় যেমন ভঙ্গি মুখের এক্সপ্রেশন , মানব ভঙ্গি , সৌন্দর্য , স্বন , অন্য পক্ষকে ভৌগোলিক অবস্থান এবং সম্পর্কিত দূরত্ব ইত্যাদি অ মৌখিক কর্মের একটি ধরনের। ধারণা এবং অ মৌখিক যোগাযোগ ধরনের বেশ একটি আকর্ষণীয় বিষয় অন্বেষণ করতে। যোগাযোগ সাহায্যের এই পদ্ধতি যেহেতু সংলোপ বা কথাপকথনে অংশগ্রহনকারী বোধ এবং তাকে দিকে একটি বড় পদক্ষেপ নিতে।
মুক্তিযোদ্ধাদের যোগাযোগ কৌশলঃ
সংকেতের মাধ্যমে যোগাযোগঃ
১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সবচেয় জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম ছিলো সংকেত । শুধুমাত্র এ সংকেত তারা নিজেরাই বুঝতো । যার ফলে পাকিস্তানী রাজাকার বা মিলিটারিরা সংকেতের অর্থ বোধগম্য হত না । এতে করে নিজেদের অপারেশন পরিচালনা করা সহজ হতো ।
টেলিভিশনের মাধ্যমে যোগাযোগঃ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে টেলিভিশনে বিভিন্ন নাটক , গান , কবিতা , ছড়া , ডকুমেন্টারি করে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হত। যদিও টেলিভিশন একপক্ষীয় যোগাযোগ মাধ্যম। তারপরও তখন কার যুগে এটাই ছিলো যোগাযোগের অন্যতম হাতিয়ার। কোথায় কখন কিভবে পাকিস্তানি শাসকদের আক্রমণকে প্রতিহত করতে হবে , তার অনেক দিকনির্দেশনা থাকতো সম্প্রচার গুলোতে।
রেডিওতে যোগাযোগঃ ১৯৭১ সাথে টেলিভিশন এতোটা বাড়ি বাড়ি না থাকলেও , যোগাযোগের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মিডিয়া ছিলো রেডিও। দামে সস্তা , ও হালকা হওয়াতে মুক্তি যোদ্ধাদের সাথে সাথে একটা রেডিও থাকতো যাতে তারা সেক্টর কমান্ডার বা উপরের নিদর্শনা বাস্তবায় করতে পারেন। আর বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান , গান , ছড়া ও দেশপ্রেমের উক্তি আর স্লোগানে মুখরিত থাকতো রেডিওর তরঙ্গ। সাধারণ জনসাধারণের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরোধ আন্দোলন ও যাবতীয় কর্মকাণ্ডের একটা গাইড লাইন থাকতো যোগাযোগের মাধ্যম রেডিও।
( খ ) নং প্রশ্নের উত্তর
নিম্নে স্যাটেলাইট ও অপটিকাল ফাইবারের ধারণা ও কাজের ধারা তুলে ধরা হলোঃ
স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহঃ মহাকাশ যাত্রা প্রসঙ্গে উপগ্রহ এমন এক বস্তু যা ইচ্ছাকৃতভাবে কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে। এই বস্তুগুলিকে পৃথিবীর চাঁদের মতো প্রাকৃতিক উপগ্রহগুলি থেকে পৃথক করার জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ বলা হয়। কৃত্রিম উপগ্রহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। বেশ কয়েকটি প্রয়োগের মধ্যে কৃত্রিম উপগ্রহ তারা মানচিত্র তৈরি করতে এবং উৎক্ষেপণ করা হয়েছে তার ছবি তুলতে ব্যবহার করা যেতে পারে। সাধারণ প্রকারভেদের মধ্যে সামরিক এবং বেসামরিক পৃথিবী পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ , যোগাযোগ উপগ্রহ , দিকনির্ণয় উপগ্রহ , আবহাওয়া উপগ্রহ এবং স্পেস টেলিস্কোপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে । কক্ষপথে মহাকাশ স্টেশন এবং মহাকাশযানও কৃত্রিম উপগ্রহ। পরিষেবা উপগ্রহ ( বেসামরিক ) পরিষেবার তিনটি প্রাথমিক বিভাগ রয়েছে স্থির উপগ্রহ পরিষেবা স্থির উপগ্রহ পরিষেবাগুলি সমস্ত দেশ এবং মহাদেশ জুড়ে পৃথিবী পৃষ্ঠের নির্দিষ্ট পয়েন্টের মধ্যে কয়েকশত বিলিয়ন বাচ্য , তথ্য এবং ভিডিও সঞ্চালনের কাজ পরিচালনা করে। সচল উপগ্রহ পরিষেবা সচল উপগ্রহ সিস্টেমগুলি নেভিগেশন সিস্টেম হিসাবে পরিবেশন করা ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চল , যানবাহন , জাহাজ মানুষ এবং বিমানকে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল অথবা অন্যান্য সচল বা স্থির যোগাযোগ ইউনিটের সাথে সংযোগ করতে সহায়তা করে। বৈজ্ঞানিক গবেষণা উপগ্রহ ( বাণিজ্যিক এবং অবাণিজ্যিক ) বৈজ্ঞানিক গবেষণা উপগ্রহগুলি আবহাওয়া সম্পর্কিত তথ্য , ভূমি জরিপের তথ্য ( যেমন দূরবর্তী সংবেদন অপেশাদার ( এইচএএম ) রেডিও এবং অন্যান্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রয়োগ যেমন ভূবিজ্ঞান , সামুদ্রিক বিজ্ঞান এবং বায়ুমণ্ডলীয় গবেষণায় ভূমিকা প্রদান করে।
অপটিক্যাল ফাইবার :
অপটিক্যাল ফাইবার ( ইংরেজি : Optical fiber ) একধরনের পাতলা , স্বচ্ছ তন্তু বিশেষ সাধারণত বিশুদ্ধ কাচ সিলিকা ) অথবা প্লাস্টিক দিয়ে বানানো হয় যা আলো পরিবহনে ব্যবহৃত হয় । ফাইবার অপটিকস ফলিত বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের সেই শাখা যা অপটিক্যাল ফাইবার বিষয়ে আলোচনা করে । অপটিকাল ফাইবারের কাজঃ অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে লম্বা দুরত্বে অনেক কম সময়ে বিপুল পরিমাণ তথ্য পরিবহন করা যায় । অপটিক্যাল ফাইবারের আরো অনেক সুবিধার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- এই ব্যবস্থায় তথ্য পরিবহনে তথ্য ক্ষয় কম হয় , তড়িৎ - চুম্বকীয় প্রভাব থেকে মুক্ত ইত্যাদি । অপটিক্যাল ফাইবার সাধারণত টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে । এছাড়া আলোকসজ্জা , সেন্সর ও ছবি সম্পাদনার কাজেও বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে । অপটিকাল ফাইবারগুলি সাধারণত স্বচ্ছ আবরণ দ্বারা পরিবেষ্টিত একটি নিম্ন সূচক সহ একটি কোর অন্তর্ভুক্ত করে । মোট অভ্যন্তরীণ প্রতিবিম্বের ঘটনা দ্বারা আলোককে মূল অংশে রাখা হয় যা ফাইবারকে ওয়েভগাইড হিসাবে কাজ করে অনেকগুলি প্রচারের পথ বা ট্রান্সভার্স মোডগুলিকে সমর্থনকারী ফাইবারগুলিকে মোড ফাইবার বলা হয় , অন্যদিকে যারা একক মোডকে সমর্থন করে তাদের একক ফাইবার ( এসএমএফ ) বলা হয় । মাল্টি - মোড ফাইবারগুলির সাধারণত একটি বৃহত্তর মূল ব্যাস থাকে এবং স্বল্প দূরত্বের যোগাযোগ লিঙ্কগুলির জন্য এবং উচ্চতর শক্তি অবশ্যই প্রেরণ করতে হবে এমন অ্যাপ্লিকেশনগুলির জন্য ব্যবহৃত হয় একক - মোড ফাইবারগুলি বেশিরভাগ যোগাযোগের লিঙ্কগুলির ১,০০০ মিটার ( ৩,৩০০ ফুট ) থেকে বেশি দীর্ঘ ব্যবহৃত হয় ।
( গ ) নং প্রশ্নের উত্তর
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ :
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ বাংলাদেশের প্রথম ভুস্থির যোগাযোগ ও সম্প্রচার উপগ্রহ । এটি ২০১৮ সালের ১১ মে বাংলাদেশ সময় ১২ মে ) কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় । এর মধ্য দিয়ে ৫৭ তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের তালিকায় যোগ হয় বাংলাদেশ । এই প্রকল্পটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কর্তৃক বাস্তবায়িত হয় এবং এটি ফ্যালকন ৯ ব্লক ৫ রকেটের প্রথম পেলোড উৎক্ষেপণ ছিল ।
উৎক্ষেপণ : স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ উৎক্ষেপণ যানে করে ১১ মে ২০১৮ সফলভাবে বঙ্গবন্ধু -১ কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয় । এটি ফ্যালকন ৯ রকেটের নতুন ব্লক ৫ মডেল ব্যবহার করে প্রথম পেলোড উৎক্ষেপণ ছিল । বঙ্গবন্ধু -১ কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর তারিখ ঠিক করা হয় , তবে হারিকেন ইরমার কারণে ফ্লোরিডায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলে তা পিছিয়ে যায় । ২০১৮ সালেও কয়েক দফা উৎক্ষেপণের তারিখ পিছিয়ে যায় আবহাওয়ার কারণে । চূড়ান্ত পর্যায়ে উৎক্ষেপণ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ৪ মে ২০১৮ তারিখে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে দুই পর্যায়ের এই রকেটের স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট সম্পন্ন হয় । কৃত্রিম উপগ্রহটি ১০ মে ২০১৮ তারিখে উৎক্ষেপণের তারিখ ঠিক করা হয় ; কিন্তু ১০ মে উৎক্ষেপণের সময় ৫-৫৮ সেকেন্ডে এসে তা বাতিল করা হয় । শেষ মিনিটে কিছু কারিগরি সমস্যার কারণে উৎক্ষেপণ স্থগিত করা হয় । অবশেষে এটি ১১ মে উৎক্ষেপণ করা হয় । কৃত্রিম উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করার পর , বাংলাদেশ ১২ মে ২০১৮ তারিখে এটি থেকে পরীক্ষামূলক সংকেত পেতে শুরু করে।
সুবিধা : বঙ্গবন্ধু -১ স্যাটেলাইট থেকে ৩ ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে টিভি চ্যানেলগুলো তাদের সম্প্রচার কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য স্যাটেলাইট ভাড়া করে। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু -১ স্যাটেলাইট চ্যানেলের সক্ষমতা বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে । আবার দেশের টিভি চ্যানেলগুলো যদি এই স্যাটেলাইটের সক্ষমতা কেনে তবে দেশের টাকা দেশেই থাকবে। এর মাধ্যমে ডিটিএইচ বা ডিরেক্ট টু হোম ডিশ সার্ভিস চালু সম্ভব। বঙ্গবন্ধু -১ স্যাটেলাইটের ৪০ টি ট্রান্সপন্ডারের মোট ফ্রিকোয়েন্সি ক্ষমতা হলো ১ হাজার ৬০০ মেগাহার্টজ। এর ব্যান্ডউইডথ ও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে ইন্টারনেট বঞ্চিত অঞ্চল যেমন পার্বত্য ও হাওড় এলাকায় উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া সম্ভব। বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মোবাইল নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে। তখন এর মাধ্যমে দুর্গত এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা চালু রাখা সম্ভব হবে।
এই স্যাটেলাইট স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য ছিল যেন দেশের দুর্গম অঞ্চলগুলোতে টেলিযোগাযোগ স্থাপন , নিরবচ্ছিন্ন সম্প্রচার সেবা নিশ্চিত করা যায় । প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক বা ট্রান্সমিশন টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা যেন ব্যাহত না হয় । এছাড়া দেশের যে সরকারি বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশনগুলো আছে সেগুলোকে এই স্যাটেলাইটের আওতায় আনার পরিকল্পনার কথাও বলা হয়েছিল।যা তার প্রাপ্তি অর্জনে শতভাত সফল ।
( ঘ ) নং প্রশ্নের উত্তর
৫০ বছরের প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের অর্জনঃ
বাংলাদেশের মানুষের জীবনধারা স্বপ্নিল গতিতে আধুনিকায়ন হয়েছে । গত এক দশকের ব্যবধানে প্রযুক্তির জাদুর স্পর্শ শহরের পাশাপাশি আবহমান বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনপথকেও রাতারাতি পরিবর্তিত করে উন্নত দেশের সমান সুযোগ - সুবিধাযুক্ত লোকালয়ে পরিণত করেছে । করোনাভাইরাসের দুর্যোগের সময়ে বাংলাদেশের আপামন জনসাধারণ তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিগত সুবিধা কাজে লাগিয়ে জীবনধারা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে । বিশ্বে এ যাবৎ আবিষ্কৃত প্রযুক্তির বেশির ভাগেরই কোনো না কোনো পর্যায় | বাংলাদেশে ব্যবহার হয়ে থাকে । স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার ব্যাপক হারে বাড়ছে । থ্রি - জি ফোর - জি পেরিয়ে ফাইভ - জি নেটওয়ার্ক যেমন চালুর দ্বারপ্রান্তে ; তেমনি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইট এখন মহাকাশে সক্রিয় থেকে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি কাজ বৈদেশিক নির্ভরতা মুক্ত করে সুসম্পন্ন করে চলছে । বাংলাদেশের মতো আর কোনো উন্নয়নশীল দেশ খুঁজে পাওয়া যাবে না , যেখানে এত স্বল্প সময়ে নিজস্ব পরিকল্পনায় ডিজিটাইজ হয়েছে । অর্থনৈতিক - সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ প্রযুক্তি ব্যবহারে ত্বরিত সুফলও পেয়েছে । বর্তমানে দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ( আইসিটি ) খাতের আয় ১০০ কোটি ডলার । ২০২১ সাল শেষে এ আয় ৫০০ কোটি ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে । দেশব্যাপী ২৮ টি হাইটেক পার্ক করা হয়েছে । চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মোকাবিলায় বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত দক্ষ মানবসম্পদসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দিয়েছে । শুধু শহরেই নয় , বরং জেলা - উপজেলা সদর ছাড়িয়ে গ্রাম এমনকি প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলেও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দিয়েছে সরকার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কয়েকটি অনুষঙ্গের ওপর গুরুত্বারোপ করে কাজ করে চলেছে ।
সে অনুষঙ্গগুলো হলো :
( ক ) কানেকটিভিটি ও আইসিটি অবকাঠামো
( খ ) মানবসম্পদ উন্নয়ন
( গ ) আইসিটি শিল্পের উন্নয়ন
( ঘ ) ই - গভর্ন্যান্স প্রতিষ্ঠা এবং অন্যান্য সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহযোগী হয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস ( বেসিস )।
অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার জানা যুগোপযোগী দক্ষ কর্মী তৈরি করাই প্রধান কাজ। আমাদের দেশের জেনেক্স ইনফোসিস , সিনেসিস আইটি , ব্রেইনস্টেশন , ইক্সোরা , বিজেআইটি , প্রাইডসিস , সিসটেক ডিজিটাল ব্র্যাকআইটি মাইসফট , মিডিয়াসফট , ইরা ইনফোটেক , নেসেনিয়া , টিকন , এনআইটিএস , বিভিক্রিয়েটিভস , টেকনোভিস্তা , আমরা টেকনোলজিস , বি - ট্র্যাক টেকনোলজিস , এডিএন টেকনোলজিসের মতো আধুনিক প্রতিষ্ঠানগুলো দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করছে। ২০১৪ সালে এটি কারনির তালিকায় ৫০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩২।
ই - গভর্ন্যান্সের জাতীয় ইনডেক্সে বাংলাদেশ ১১৫ নম্বরে । তথ্যপ্রযুক্তিতে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ । এরমধ্যে আইটিইউ অ্যাওয়ার্ড , সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড , গার্টনার এবং এটি কারনিসহ বেশ কিছু সম্মানজনক স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ । তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্সের ( উইটসা ) মহাসচিব জেমস পয়জ্যান্টস বলেন , তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ ভালো করছে এবং যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে বলেই উইটসা ঢাকাকে বেছে নিয়েছে বিশ্ব সম্মেলন করার জন্য । যেকোনো দেশের সফলতার মূল বিষয় হলো নেতৃত্ব । বাংলাদেশের তা আছে । অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফরম কোরসেরার বৈশ্বিক দক্ষতা সূচক বা ' গ্লোবাল স্কিলস ইনডেক্স ২০১৯ ' ( জিএসআই অনুযায়ী , প্রযুক্তিগত দক্ষতার দিক থেকে অপারেটিং সিস্টেম , সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো ক্ষেত্রে ভালো করছে বাংলাদেশ । পরিশেষে বলা যায় যে , বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশে বিগত ৫০ বছরে প্রযুক্তি খাতে যে অর্জন করেছে তা রীতিমতো অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য ঈর্ষণীয় ।
২০১৪ সালে এটি কারনির তালিকায় ৫০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩২। ই - গভর্ন্যান্সের জাতীয় ইনডেক্সে বাংলাদেশ ১১৫ নম্বরে । তথ্যপ্রযুক্তিতে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ । এরমধ্যে আইটিইউ অ্যাওয়ার্ড , সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড , গার্টনার এবং এটি কারনিসহ বেশ কিছু সম্মানজনক স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ । তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্সের ( উইটসা ) মহাসচিব জেমস পয়জ্যান্টস বলেন , তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ ভালো করছে এবং যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে বলেই উইটসা ঢাকাকে বেছে নিয়েছে বিশ্ব সম্মেলন করার জন্য । যেকোনো দেশের সফলতার মূল বিষয় হলো নেতৃত্ব । বাংলাদেশের তা আছে । অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফরম কোরসেরার বৈশ্বিক দক্ষতা সূচক বা ' গ্লোবাল স্কিলস ইনডেক্স ২০১৯ ' ( জিএসআই অনুযায়ী , প্রযুক্তিগত দক্ষতার দিক থেকে অপারেটিং সিস্টেম , সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো ক্ষেত্রে ভালো করছে বাংলাদেশ । পরিশেষে বলা যায় যে , বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশে বিগত ৫০ বছরে প্রযুক্তি খাতে যে অর্জন করেছে তা রীতিমতো অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য ঈর্ষণীয় ।
প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানা : আবদুর রহমান
৮ ম শ্রেণি
রোল : ০১
মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয় , ঢাকা।
প্রতিবেদন তৈরির তারিখ : ১৫ মার্চ , ২০২২
প্রতিবেদন তৈরির সময় : রাত ৯ টা ।
বিশেষ সতর্কতা: উপরোক্ত নমুনা উত্তরগুলো দেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হল, শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত বিষয়ের উপর ধারণা দেওয়া। ধারণা নেওয়ার পর অবশ্যই নিজের মত করে এসাইনমেন্ট লিখতে হবে। উল্লেখ্য যে, হুবহু লেখার কারণে আপনার উত্তর পত্রটি বাতিল হতে পারে। এ সংক্রান্ত কোন দায়ভার KouNik Barta-এর নয়।
৮ম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উত্তর ৬ষ্ঠ সপ্তাহ ২০২২, class 8 Assignment ICT answer 6th Week 2022
৭ম - ১০ম শ্রেণির ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ পিডিএফ ডাউনলোড
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
আপনার মূল মান মতামতটি আমাদের জানান। আমি শালীন ভাষা ব্যাবহার করবো এবং অশ্লীল ভাষা ব্যাবহার থেকে বিরত থাকবো। কৌণিক বার্তা.কম আপনার আইপি অ্যাড্রেস ব্লকের ক্ষমতা রাখে।
comment url