ভাব সম্প্রসারণ সবলের পরিচয় আত্মপ্রসারে,আর দুর্বলের স্বস্তি আত্মগোপনে পিডিএফ ডাউনলোড
ভাবসম্প্রসারণ |
সবলের পরিচয় আত্মপ্রসারে,আর দুর্বলের স্বস্তি আত্মগোপনে ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম বা ভাবসম্প্রসারণ করার ক্ষেত্রে যেসব দিক বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবেঃ
১। উদ্ধৃত অংশটুুকু মনোযোগসহ পড়তে হবে।
২৷ অন্তর্নিহিত ভাবটি বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
৩। অন্তর্নিহিত ভাবটি কোনো উপমা-রূপকের আশ্রয়ে নিহিত আছে কি না, তা চিন্তা করতে হবে।
৪। সহজ-সরলভাবে মূল ভাবকে ফুটিয়ে তুলতে হবে।
৫। মূল বক্তব্যকে প্রকাশরূপ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনে যুক্তি উপস্থাপন করতে হবে।
৬। বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সবলের পরিচয় আত্মপ্রসারে,আর দুর্বলের স্বস্তি আত্মগোপনে এই ভাবসম্প্রসারণ লিখার নিয়ম উপর থেকে জেনেছি৷ আমরা শিখতে পারবো নাম মানুষকে বড় করে না , মানুষই নামকে বড় করে তোলে ভাবসম্প্রসারেণ কি ভাবে লিখতে পরবো। ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম, ৯ম, ১০ম শ্রেণী এবং SSC HSC JSC PSC বাংলা ২য় পত্রের ভাবসম্প্রসারণ।
মূলভাব:
সবল ও দুর্বলের অবস্থান ভিন্ন , তাই তাদের জীবনাচরণ ও প্রবণতাও ভিন্ন। তবে সবল অবশ্যই শ্রেয়তর অবস্থানে থাকে।
সম্প্রসারিত ভাব:
সবল ও দুর্বল মিলেই সমাজ গঠিত। শুধু মানবসমাজ নয় , প্রাণিজগতের সর্বত্র সবল ও দুর্বলের সম্মিলন লক্ষণীয়। এ কারণে দুর্বল সেখানে কখনো কখনো সবলের খাদ্যরূপে পরিগণিত। কিন্তু মানবসমাজ নানা বিধিব্যবস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ইচ্ছে করলেই সবল দুর্বলকে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করতে পারে না। কিন্তু আধিপত্য প্রতিষ্ঠার প্রবণতা মানুষের জন্মগত। তার স্বাভাবিক প্রবৃত্তিই হলো অন্যদের মধ্যে নিজেকে বিস্তৃত বা প্রতিষ্ঠিত করতে চাওয়া । কখনো কখনো এ প্রবৃত্তি মানুষকে সর্বগ্রাসী করে তোলে। আধিপত্য কায়েমের জন্যে মানুষের প্রয়োজন হয় শারীরিক , মানসিক ও আর্থিক সঙ্গতি। এ সঙ্গতি বা সক্ষমতার বিষয়টি আজকাল সামাজিক ও রাজনৈতিক -ক্ষেত্রেও ব্যাপ্ত হয়েছে। এসবের আনুকূল্য পেয়ে সমাজে সবল ব্যক্তি সকলকে নিজের করতলগত করে ফেলে। সর্বক্ষেত্রে আত্মপ্রসারের ফলে মানুষ লাভ করে আত্মপ্রসাদ। তাই মানবসমাজে আধিপত্য কায়েমে সবলের প্রচেষ্টা যেখানে শুধু শারীরিক ও জৈবিক সেখানে মানুষের সবলতা প্রমাণের প্রচেষ্টা সামাজিক , অর্থনৈতিক ও অনেকটা রাজনৈতিকও বটে। সমাজে মাথা তুলে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্যে মানুষ যখন মরিয়া হয়ে উঠে তখন যারা দুর্বল তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও নিজস্ব অধিকার রক্ষাই দুর্বল হয়ে উঠে। সামাজিক বিধিবিধান সত্ত্বেও সবলকে সবাই ভয় পায় , সমীহ করে। আইন ও বিচার ব্যবস্থাও সবলকে নানাভাবে আনুকূল্য প্রদর্শন করে। এমতাবস্থায় দুর্বল ব্যক্তি আত্মপ্রতিষ্ঠার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। কখনো কখনো আত্মরক্ষাও দুরূহ হয়ে পড়ে । এক্ষেত্রে সে আত্মগোপন করেই স্বস্তি পেতে চায় । আত্মপ্রসার নয় , তার ক্ষেত্রে নিভৃতচারী হয়ে কিংবা নিরীহ সেজে বেঁচে থাকাই বড় হয়ে দেখা দেয় । যদিও এই আত্মগোপনের মধ্যে গর্বের কোনো কিছু নেই , নেই মনুষ্যত্বের মর্যাদাও । তবু আমাদের সমাজে সবলের আত্মপ্রসারের দাপটে দুর্বলের জীবন আত্ম - অবমাননায় অবনমিত হয়।
মন্তব্য:
সবলের অন্যায় দাপটই যেন সমাজ মেনে নিয়েছে, হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বীকৃত বিধি। এক্ষেত্রে ন্যায় - অন্যায়,মানবতা ও মনুষ্যত্বের বিষয়টি আপেক্ষিক - ই থেকে যায়।
বিঃদ্রঃ বাংলাদেশর সকল শিক্ষা বিষয়ের খবর এবং বাংলা ২য় ও ইংরেজি ২য় এবং সকল বিষয়ের তথ্য জানতে চোখ রাখুন কৌণিক বার্তা ফেসবুক পেজে নিচে লিংক দেওয়া হলোঃ-
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
আপনার মূল মান মতামতটি আমাদের জানান। আমি শালীন ভাষা ব্যাবহার করবো এবং অশ্লীল ভাষা ব্যাবহার থেকে বিরত থাকবো। কৌণিক বার্তা.কম আপনার আইপি অ্যাড্রেস ব্লকের ক্ষমতা রাখে।
comment url