ভাবসম্প্রসারণ : নীচ যদি উচ্চভাসে সুবুদ্ধি উড়ায়ে হাসে | SSC HSC JSC পিডিএফ ডাউনলোড
মূলভাব : পৃথিবীতে বস্তু ও মানবজগতে অবস্থানগত ভারসাম্য স্বীকৃত। উঁচু - নীচুর পার্থক্য যদি কেউ অস্বীকার করে তাহলে বুঝতে হবে সেখানে সুবুদ্ধির অভাব রয়েছে।
সম্প্রসারিত ভাব : উঁচু - নীচু , ইতর - ভদ্র এসবের সমান্তরাল উপস্থিতি বিদ্যমান। শিক্ষা , পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতা একেকটি মানুষের পৃথক পৃথক অবস্থান তৈরি করে। সমাজে কেউ নীচু আর কেউ মর্যাদাসম্পন্ন বলে বিবেচিত হয়। এ অবস্থান কেউ জোর করে অর্জন করতে পারে না। এটি সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত ও প্রদত্ত অধিকার বটে নীচ যদি উচ্চ ভাষে সুবুদ্ধি উড়ায়ে হাসে। এভাবেই সমাজে নির্ধারিত পন্থায় মানুষ সামাজিক আচরণ করে ও মর্যাদা ভোগ করে। যে নীচ , যে ছোট এবং পশ্চাৎপদ সে কিছুতেই ভদ্র , শিক্ষিত ও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের সমান মর্যাদা পেতে পারে না। নীচ ও ইতর লোকদের মুখে ভালো কথা , বড় কথা সাজে না। তাই যদি কখনো নীচ হয়ে কেউ বড় কথা উঁচু গলায় বলে তখন খুবই অস্বস্তিকর লাগে। শুধু তা অস্বস্তিকরই নয় , শুভবুদ্ধিরও পরিপন্থী। নীচু প্রকৃতির লোকেরা সমাজে উচ্চাসন পেলে কিংবা সম্মানিত হলে বুঝতে হবে সমাজ সুস্থ পথে এগোচ্ছে না। সমাজ অসঙ্গতির শিকার হয়েছে। এমন সমাজে সুবুদ্ধি উপেক্ষিত , উপহাসিত নীচ যদি উচ্চ ভাষে সুবুদ্ধি উড়ায়ে হাসে।
মম্ভব্য : সমাজের অসঙ্গতি সুবুদ্ধিকে দংশন করে। দংশিত বিবেক কখনো উচ্চ হেসে তার হতাশা ব্যক্ত করে।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
আপনার মূল মান মতামতটি আমাদের জানান। আমি শালীন ভাষা ব্যাবহার করবো এবং অশ্লীল ভাষা ব্যাবহার থেকে বিরত থাকবো। কৌণিক বার্তা.কম আপনার আইপি অ্যাড্রেস ব্লকের ক্ষমতা রাখে।
comment url