ভাবসম্প্রসারণ: বন্যেরা বনে সুন্দর , শিশুরা মাতৃক্রোড়ে | ভাবসম্প্রসারণটি SSC HSC JSC পরিক্ষার উপযুক্ত PDF
প্রত্যেক প্রাণীই একটি নির্দিষ্ট পরিবেশে জন্ম গ্রহণ করে। প্রকৃতির রাজ্যে সকলের জন্য সুনির্দিষ্ট স্থান রয়েছে। তাই বলা হয় বন্যেরা বনে সুন্দর , শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।
কৌণিক বার্তা ওয়েবসাইটে বিভিন্ন শ্রেণীর বিভিন্ন পেশার শিক্ষার্থীদের পাঠ্য পুস্তকের বাইরেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষামূলক বিষয়ের উপর আলোচনা করা হয়ে থাকে। ষষ্ঠ থেকে থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের একটি আবশ্যিক বিষয় হচ্ছে বাংলা দ্বিতীয় পত্র। বাংলা দ্বিতীয় পত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভাব সম্প্রসারণ। আমরা প্রতিদিনই এখানে বিভিন্ন ভাব সম্প্রসারণ এর ওপর আলোচনা করে থাকি।
বন্যেরা বনে সুন্দর ; শিশুরা মাতৃক্রোড়ে
মূলভাব:
প্রত্যেক প্রাণীই একটি নির্দিষ্ট পরিবেশে জন্ম গ্রহণ করে। প্রকৃতির রাজ্যে সকলের জন্য সুনির্দিষ্ট স্থান রয়েছে। তাই বলা হয় বন্যেরা বনে সুন্দর , শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। প্রকতি যাকে যেখানে রেখেছে, যার যা দায়িত্ব নির্দিষ্ট করেছে প্রত্যেকের উচিত সে স্থানে থেকে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করা।
সম্প্রসারিত ভাব:
যার যে পরিবেশে তাকে সেই পরিবেশেই যথার্থ মানায়। প্রত্যেকে নিজ বৈশিষ্ট্য আর নিজস্ব পরিবেশে সঠিকভাবে রূপায়িত হয়ে উঠে। বনের অধিবাসীরা বনে বাস করে; তারা বন্য জীবনাচরণে অভাস্ত । বন্যের প্রকৃতির মধ্যেই তাদের সুন্দর মানায়। যদি তাদের বন থেকে সরিয়ে এনে লোকসমাজে রাখা হয় তাহলে তারা মোটেই পারবে না মানাতে। তাই বলা হয় বন্যেরা বনে সুন্দর , শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। পশু - পাখি বনে বসাবসে অভাস্ত । তাদেরকে বনেই সুন্দর দেখাই এবং বনের পরিবেশ সুন্দর করে। তাদের লোকালয়ে আনলে তাদের জীবন বা লোকালয়ের পরিবেশ অসুন্দর করে দিবে। তেমনি মায়ের কোলে শিশুকে যেমন সুন্দর লাগে অন্য কারো শিশুকে তত সুন্দর মানায় না। কারণ মা ছাড়া অন্যের কোলে শিশুর স্বাভাবিক সৌন্দর্য ও সরলতা বিকশিত হতে পারে না। এটাই জাগতিক নিয়ম ।
কথায় আছে , ‘‘যে যেখানে আছে তাকে সেখানেই থাকতে দাও । তবেই তাদের স্বাভাবিক সৌন্দর্য বিকশিত হবে।”
তেমনি সামাজিক জীবনে যায় যেখানে থাকবার কথা অথবা যায় যা দায়িত্ব তার তাতেই নিবিষ্ট থাকা উচিত । রাজনীতিকের কাজ রাষ্ট্র পরিচালনা করা । কিন্তু সেনাবাহিনী যখন ব্যারাক ছেড়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা অধিষ্ঠিত হয় তখন রাজনীতির স্বাভাবিক বিকাশ ও সৌন্দর্য নষ্ট হয়। বন্য প্রাণীর জন্য সুন্দর স্থান হলো বনভূমি । বন্য প্রাণীরা মানুষের সাথে বসবাস করতে পারবে না। নিজস্ব পরিবেশেই তাদের সুখ দিতে পারে। তাই আমাদের উচিত যে যেখানে বসবাস করছে সে সেখানেই বসবাস করতে দিতে হবে তবে পরিবেশ সুন্দর থাকবে । বনের পাখিদের বৈশিষ্ট হলো তারা খুলা আকাশে উড়ে বেড়ানো। সেই পাখিকে যদি আমরা ধরে নিয়ে এসে লোকবল বা খাচায় ভরে রাখলে সে আনান্দ পাবে। আবার শিশুদের জন্য কিন্ত তার মায়ের কোলই উপযুক্ত তাদের কে যদি বনে রাখা হয় তাহলে কি সুন্দর লাগবে। কৃষকদের জন্য উপযুক্ত স্থান গ্রাম। তারা জমিতে ফসল ফলানোই তাদের কাজ তার জন্য গ্রামের প্রয়োজন।
সর্ব শক্তিমান আল্লাহ পরিবেশ অনুযায়ী জীব সৃষ্টি করেছেন। বনে প্রাণী থাকে; সমুদ্রের তলদেশেও প্রাণী থাকে; থাকে মরুভূমিতে এবং হিমশীতল তুষার অঞ্চলেও। যার যেখানে সৃষ্টি-তাকে সেখানেই সুন্দর দেখায়। বনের পাখীতে খাঁচায় পুষলে তার জীবনে বিঘ্ন ঘটে। মরুভূমির উট কাদায় চলতে পারেনা। মানব জীবনে পরিবেশের প্রভাব অসামান্য। বিচিত্র পরিবেশ মানব জীবনে ফেলেছে বৈচিত্র্যময় প্রভাব। তাদের জীবন পদ্ধতি ও সংস্কৃতি গড়ে ওঠে অরণ্যক পরিবেশের সঙ্গে যোগসূত্র ও সঙ্গতি রেখে। শিক্ষকের কাজ শিক্ষা দেওয়া , শিক্ষার্থীর কাজ শিক্ষা গ্রহণ করা । এ দুয়ের অবস্থানগত পার্থক্য রক্ষার মধ্যেই সৌন্দর্য ও সঙ্গতি সুস্পষ্ট হয়ে উঠে। জীবনের স্বাভাবিক বিকাশ ও সমাজের সুষম উন্নাতি জন্যই এ সঙ্গতি রক্ষা করা প্রয়োজন।
মন্তব্য:
আমাদের সকল ক্ষেত্রেই অবস্থানের অসঙ্গতি লক্ষ করা যায়। উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে অনেক সুন্দর জিনিসও অসুন্দর হয়ে যায়। তাই বলা হয়ে থাকে বন্যেরা বনে সুন্দর; শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। সেজন্যেই আমরা আমাদের কাঙ্গিত সামাজিক প্রগতি অর্জনে সক্ষম হই নি। তাই প্রতিটি প্রাণীকে তার নিজ নিজ পরিবেশে বিকাশের সুযোগ দেওয়া উচিত।
বিঃদ্রঃ বাংলাদেশর সকল শিক্ষা বিষয়ের খবর তথ্য জানতে চোখ রাখুন কৌণিক বার্তা ফেসবুক পেজেঃ-
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
আপনার মূল মান মতামতটি আমাদের জানান। আমি শালীন ভাষা ব্যাবহার করবো এবং অশ্লীল ভাষা ব্যাবহার থেকে বিরত থাকবো। কৌণিক বার্তা.কম আপনার আইপি অ্যাড্রেস ব্লকের ক্ষমতা রাখে।
comment url