ভাবসম্প্রসারণ : হে অতীত, তুমি ভুবনে ভুবনে কাজ করে যাও গোপনে গোপনে, মুখর দিনের চপলতা মাঝে স্থির হয়ে তুমি রও | SSC HSC JSC
মানুষের জীবনে তিনটি কালের স্রোতে বয়ে চলছে- অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যৎ। ‘চরৈবেতি’ -চল, চল এগিয়ে চল- উপনিষদের এই মন্ত্রে মানুষ এগিয়ে চলছে, সভ্যতা সমৃদ্ধ হচ্ছে। হে অতীত, তুমি ভুবনে ভুবনে কাজ করে যাও গোপনে গোপনে, মুখর দিনের চপলতা মাঝে স্থির হয়ে তুমি রও - ভাবসম্প্রাসরণ
হে অতীত, তুমি ভুবনে ভুবনে কাজ করে যাও গোপনে গোপনে,মুখর দিনের চপলতা মাঝে স্থির হয়ে তুমি রও
মূলভাব:
অতীত শুধুমাত্র মৃত সময় নয় — বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে সুন্দর করতে অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ জরুরি। অতীতের ভিতেই রচিত হয় ভবিষ্যতের সাফল্য-সৌধ। হে অতীত, তুমি ভুবনে ভুবনে কাজ করে যাও গোপনে গোপনে,মুখর দিনের চপলতা মাঝে স্থির হয়ে তুমি রও।
সম্প্রসারিত ভাব:
অতীতের হাত ধরেই বর্তমানের আগমন। আজ যা বর্তমান আগামী দিন তাই অতীতে পরিণত হয়। মানুষের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আদিকালে মানুষ যা শিখেছে বা তৈরি করেছে বর্তমানে তার চেয়ে আরও অধিকতর জেনেছে বা উন্নততর জিনিস তৈরি করছে। ভবিষ্যতেও মানুষের জ্ঞান ও প্রযুক্তিগত অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। অতীতকে কেন্দ্র করেই বর্তমান সভ্যতা গড়ে উঠেছে। মানুষ তার অতীত জ্ঞান, শিক্ষা ও মতাদর্শ কাজে লাগিয়ে বর্তমানকে গড়ে তোলে। প্রতিটি মানুষ বর্তমানে যে সাফ অন করেছে বা ভবিষ্যতে করবে তা নির্ভর করে সে অতীত থেকে কতটা শিক্ষা গ্রহণ করেছে তার ওপর। বস্তুত অতীত কখনই নীরব থাকে না। গোপনে কাজ করে যায়। যার ফলাফল বর্তমানের ওপর প্রভাব ফেলে।
তা বলে কিছু যদি না থাকত তবে বর্তমান বা ভবিষ্যতের কোনো আত্ব খুঁজে পাওয়া যেত না। মানুষ একদিনে হঠাৎ করে কিছু হতে না। তাকে বড় হতে হলে বা সফলতার মুখ দেখতে হলে দীর্ঘদিন নিরলস পরিশ্রম করতে হয়। মানুষ বর্তমানে যা করছে তার তার ভবিষৎ নির্ভর করছে। আর ভবিষ্যৎটা যখন বর্তমান হয়ে দেখা দেয় তখন বর্তমানটাই অতীতে বিলীন হয়ে যায়। ইতিহাস পর্যাগোনা। করলে আমরা দেখতে পাই কীভাবে মানুষ অতীতের ধাপ অতিক্রম করে বর্তমানে উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে। আজকের দিনে নতুন নতুন আবিষ্কারের পেছনে রয়েছে অতীত মানুষের সীমাহীন অবদান।
মন্তব্য:
অতীতই মানুষকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের দিক-নির্দেশনা দিয়েছে। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে নিয়েই মানবজীবনের অব্যাহত যাত্রা।
বিভিন্ন বই থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে
হে অতীত, তুমি ভুবনে ভুবনে কাজ করে যাও গোপনে গোপনে, মুখর দিনের চপলতা মাঝে স্থির হয়ে তুমি রও।
মূলভাব : জীবনকে সুন্দরভাবে বিকশিত করতে হলে অতীতের প্রভাব অপরিসীম। কারণ অতীত হচ্ছে বর্তমানের সিঁড়ি এবং অনাগত ভবিষ্যতের পথ প্রদর্শক।
সম্প্রসারিত ভাব : বর্তমান দাঁড়িয়ে আছে অতীত ভিত্তির ওপর। আর সুন্দর বর্তমানের ওপরেই গড়ে ওঠে সাফল্যময় ভবিষ্যৎ। কাজেই বলা যায়, গৌরবময় অতীত জন্ম দেয় সুখী-সমৃদ্ধ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। অতীতের প্রভাবকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। পৃথিবীতে যে জাতি যত সভ্য ও উন্নত সে জাতি তার অতীত সম্পর্কে তত বেশি সচেতন। প্রত্যেক জাতিই তাদের অতীতের ঐতিহ্য ও গৌরবকে সবার সামনে তুলে ধরে এবং এ দিয়ে রচনা করে অমর গাঁথা। গৌরবময় সোনালি অতীত জাতিকে চেতনায় উজ্জীবিত করে। কোনো জাতির বর্তমান সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশের পথে নীরবে কাজ করে যাচ্ছে সে জাতির ঐতিহ্যময় অতীত। জাতি যখন দিক ভ্রান্ত হয়, দিক নির্দেশনার অভাবে যখন হারিয়ে যেতে থাকে জটিল আবর্তে, তখন অতীতই প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমাদের বাঙালি জাতির রয়েছে গৌরবময় অতীত। আবহমান বাংলার হাজার বছরের সংস্কৃতিই আমাদের প্রেরণার উৎস। যখনই আমরা জাতীয় সংকটে নিপতিত হই, তখনই আমাদের ঐতিহ্যময় সোনালি অততি আমাদেরকে চেতনায় উদ্দীপ্ত করে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা আমাদের গৌরবময় স্বাধীনতা। আমাদের সংগ্রামময় অতীতের সফল বাস্তবায়ন। অতীত কখনো বিস্মৃত নয়। তাই অতীতকে সবসময় গুরুত্বের সাথে মূল্যায়ন করা উচিত।
বিঃদ্রঃ বাংলাদেশর সকল শিক্ষা বিষয়ের খবর তথ্য জানতে চোখ রাখুন কৌণিক বার্তা ফেসবুক পেজেঃ-
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
আপনার মূল মান মতামতটি আমাদের জানান। আমি শালীন ভাষা ব্যাবহার করবো এবং অশ্লীল ভাষা ব্যাবহার থেকে বিরত থাকবো। কৌণিক বার্তা.কম আপনার আইপি অ্যাড্রেস ব্লকের ক্ষমতা রাখে।
comment url