ইন্টারনেট কি ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা ইন্টারনেট সম্পর্কে অজানা তথ্য
প্রথমত ইন্টারনেট শব্দের অর্থ অন্তর্জাল ইন্টারনেট শব্দ এসেছে, ইন্টার (Enter) অর্থ ভিতরে আর নেট (Net) অর্থ জাল। অসংখ্য কম্পিউটার বা স্মার্ট ডিভাইসকে একে ওপরের সাথে যুক্ত করে তথ্য আদান-প্রদান করার যে নেটওয়ার্ক পদ্ধতি তৈরি করা হয় তাকে ইন্টারনেট বলে।
ইন্টারনেট |
বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেট দৈনন্দিন জীবনের অনেক কাজ কর্ম সহজ করে তুলেছে। ইন্টারনেট এর মাধ্যমে আমরার আমাদের জীবনের অনেক কাজ করে থাকি। ইন্টারনেট এর ব্যবহার সারা বিশ্বে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারা বিশ্বের ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং প্রজন্মের এই ইন্টারনেট অগ্রগতি হতেই আছে। এই ইন্টারনেট এর মাধ্যমে সারা পৃথিবী একটি পরিবার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেট কি ভাবে কাজ করে? এবং ইন্টারনেট আমাদের জীবনের কি সুবিধা ও অসুবিধা দিচ্ছে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। ইন্টারনেট সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
ইন্টারনেট কি
প্রথমত ইন্টারনেট শব্দের অর্থ “অন্তর্জাল”। ইন্টারনেট শব্দটি দুটি শব্দ সমন্বয় যুক্ত হয়ে হয়েছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেট একটি ইংরেজি শব্দ। মূলত ইন্টারনেট শব্দটির উৎপত্তি হয় ইথারনেট (Ethernet) থেকে। ইন্টার (Enter) অর্থ “ভিতরে” আর নেট (Net) অর্থ “জাল”। ইন্টারনেট বলতে সংযুক্ত নেটওয়ার্ক তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগের সহজ পদ্ধতি। যেমন বলা যায় বেশি কিছু বা অসংখ্য কম্পিউটার কে তার এর মাধ্যমে একেওপরের সাথে যুক্ত করে তথ্য আদান-প্রদান করার পদ্ধতিকে ইন্টারনেট বলা হয়। ইন্টারনেট হচ্ছে বিশ্বের অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিরাট নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। অসংখ্য কম্পিউটার যুক্ত করে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয় সেটাই ইন্টারনেট। যাকে ইন্টারনেট ওয়ার্কিং ও বলা হয়।
ইন্টারনেট কাকে বলে
বেশ কিছু বা অসংখ্য কম্পিউটার বা স্মার্ট ডিভাইসকে একে ওপরের সাথে যুক্ত করে তথ্য আদান-প্রদান করার যে নেটওয়ার্ক পদ্ধতি তৈরি করা হয় তাকে ইন্টারনেট বলে। ইন্টারনেট হচ্ছে বিশ্বের আধুনিক টেলিযোগাযোগের একটি পপুলার নেটওয়ার্ক মাধ্যম। এই ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্ক তৈরি করার হয় অপটিক্যাল ফাইবার, টেলিফোন লাইনের তার, ওয়্যারলেস বেতার সংযোগ ব্যবহার করে। এই গুলোর এবং কম্পিউটার মোবইল সহ অন্যান্য সকল ডিভাইস ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) এর সাথে সংযুক্ত করে ইন্টারনেট ব্যবহারের উপযুক্ত করে তোলে। ইন্টারনেট প্রায় সময় নেট বলা হয়ে থাকে। আবার অনেকই ইন্টারনেট বিশ্বকে নেট দুনিয়া বলে থাকে। যখন সম্পূর্ণ আইপি নেটওয়ার্কের আন্তর্জাতিক সিস্টেমকে উল্লেখ করা হয় তখন ইন্টারনেট শব্দটিকে একটি নামবাচক বিশেষ্য মনে করা হয়। ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব দৈনন্দিন কোন পার্থক্য ছাড়া ব্যবহৃত হয়। তবে ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব একই নয়।
ইন্টারনেট কত প্রকার ও কি কি
বর্তমান আধুনিক ইন্টারনেট ৬ প্রকার। এই ছয় ধরণের প্রযুক্তি সিস্টেমে ইন্টারনেট সংযোগে এর জন্য কাজ করে। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যে ধরণের ইন্টানেট আমরা ব্যবহার করি নিচে তার নাম উল্লেখ করলাম যা আপনারা হয়ত অনেকই আইসিটি বিভাগে আগেই জেনেছেন।
- ডায়াল-আপ ইন্টারনেট
- ডিএসএল ইন্টারনেট
- ওয়ারলেস ইন্টারনেট
- স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
- ক্যাবল ইন্টারনেট
- সেলুলার ইন্টারনেট
কি ভাবে ইন্টারনেটের আবিষ্কার হলো
প্রথম ইন্টারনেট এর দেখে হয়েছে ১৯৬০ সালে আরপনেট নামে পরিচিত ছিল। মার্কিন সামরিক বাহিনীর গবেষণা সংস্থা অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস বা আরপা (ARPA) পরীক্ষামূলক ভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করেন। এই চালুকৃত ইন্টারনেট আগে আরপানেট (ARPANET) নামে পরিচিত ছিল। পরে তা আরপানেট থেকে ইন্টারনেট করা হয়েছে। বিশ্বে সবার জন ইন্টারনেট আইএসপি দ্বারা ব্যবহার জন উন্মুক্ত করা হয় ১৯৮৯ সালে। ১৯৯০ এর মাঝামাঝি থেকে ১৯৯০ এর পরবর্তি সময়ের দিকে পশ্চিমাবিশ্বে ইন্টারনেট ব্যাপক ভাবে বিস্তৃত হতে থাকে। ইন্টারনেট জনক হচ্ছে “ভিনটন জি কার্ফ”। ১৯৬৯ সালের ২৯ অক্টোবর আরপানেট প্রথম ইন্টারনেটে একটি নোড থেকে অন্য একটি নোড এ ম্যাসেজ পাঠায়।
ইন্টারনেট সম্পর্ক যুক্ত প্রশ্ন উত্তর
ইন্টারনেট আবিস্কারক
প্রশ্নঃ ইন্টারনেটের জনক কে ?
উত্তরঃ ভিনটন জি কার্ফ ।
প্রশ্নঃ WWW এর অর্থ কি ?
উত্তরঃ World Wide Web.
প্রশ্নঃ WWW এর জনক কে ?
উত্তরঃ টিম বার্নাস লি ।
প্রশ্নঃ ই-মেইল এর জনক কে ?
উত্তরঃ রে টমলি সন।
প্রশ্নঃ ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিনেরজনক কে?
উত্তরঃ এলান এমটাজ ।
প্রশ্নঃ মোবাইল ফোনের জনক কে?
উত্তরঃ মারটিন কোপার
প্রশ্নঃ কম্পিউটারের জনক কে ?
উত্তরঃ স্যার চার্লস ব্যাবেজ।
ইন্টারনেট এর জনক কে?
আমরা ইন্টানেটের জনক হিসাবে চিনি তার নাম হলো “ভিনটন জি কার্ফ” তবে এই বিশাল নেটওয়ার্ক এর অন্তর্জাল ইন্টারনেট একদিনে তৈরী হয়নি, লক্ষ লক্ষ মানুষ রাত দিন কাজ করে ইন্টারনেট তৈরি করা হয়েছে।
ইন্টারনেটের ৫টি ব্যবহার
১. সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা
ঘরে বসে পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারি ইন্টারনেটের মাধ্যমে। ইন্টারনেটর কারণে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা মুহুর্তের মধ্যেই পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যোগাযোগ করতে পারি। বেশ কিছু মাধ্যমে ব্যবহার করে যোগাযোগ করতে পারি যেমন- ইমেইল, ভিডিও কল, অডিও কল, সোশ্যাল মিডিয়া, মেসেজ ইত্যাদি ইন্টারনেট ভিত্তিক সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে পারি।
২. ডিজিটাল ই-কমার্স
বর্তমানে অনলাইনে ব্যবসা বলতে ইন্টারনেট ইন্টারনেট একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম যার সাহায্যে সহজেই যেকোন গ্রাহকের কাছে পৌছে কাঙ্ক্ষিত পণ্য বিক্রয় করা সম্ভব। ই-কমার্স ভিত্তিক যত বড়বড় ব্যবসা পদ্ধতি গড়ে উঠাছে তা সকল কিছু ইন্টারনেট ভিত্তিক অনলাইন ব্যবসা পদ্ধতি। যেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোন পণ্য সহজভাবে গ্রাহক ও বিক্রেতা ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে।
৩. অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা
আমাদের সকল ছাত্র ছাত্রীদের জীবন থেকে করনো নামক একটি ভাইরাস শিক্ষা জীবনের দুটি বছর কেড়ে নিয়েছে। তবে আমাদের শিখিয়ে গিয়েছে কিভাবে অনলাইন ভার্চুয়াল ভাবে শিক্ষা গ্রহন করা যায়। আবার দিনে দিনে অনলাইনে সকল তথ্য খোঁজার চাহিদা বেড়ে চলেছে। যার মূল কারণ বিভিন্ন প্রকাশন ও ব্লগাররা তাদের সাইটে সকল জ্ঞান মূলক তথ্য নিয়মিত প্রকাশ করে আবার গুগল ইউটিউব শিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের অনেক উপকারে আসছে। ফলে শিক্ষার্থীরা দিনে দিনে অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে। জটিল বিষয় বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনেক সহজ ভাবে অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা করানো ক্লাস বিনামূল্যে সবার জন্য ইন্টারনেটে আপলোড করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সহজ করে তুলেছে। ফলে শিক্ষা জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার ত্রিমাত্রিক ভিডিও ও ইন্টারনেট ভিত্তিক পাঠদান খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
৪. নতুন তথ্য অনুন্ধান
বর্তমানে আমরা খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে কোনো অজানা বিষয় সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারি। তার মধ্যে বিশেষ ভাবে গুগল ইউটিউব, কোরা, ফেইসবুক অন্যতম। এসকল সার্জ ইঞ্জিন ব্যবহার করে সকল নতুন শিক্ষা মূলক জ্ঞান অর্জন করতে পারে। বলা যায় আমরা দিনে দিনে নতুন তথ্য খোঁজার জন্য সার্চ ইঞ্জিন এর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি।
৫. সর্বশেষ আপডেট খবর
ইন্টারনেট ব্যবস্থার ফলে এখন মুহুর্তের মধ্যেই যেকোনো খবর ঘরে বসেই বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল অনলাইন টিভি, ইউটিউব, ফেইসবুক টেলিভিশন মাধ্যমে কুইক জেনে নিতে পারি। সাথে সাথে আমরা আমদের নিজেদের মতামতও তুলে ধরতে পারি। যেকারণে ইন্টারনেট দিনে দিনে এত জনপ্রিয় হচ্ছে। ইন্টারনেট আর টিভির নিউজের সাথে পার্থক্য হচ্ছে ইন্টারনেটে আমরা যেখবর দেখতে চাই সেটাই দেখতে পাই আর টেলিভিশনে চ্যানেলগুলো যেখবর দেখায় সেটাই আমাদের দেখতে হয়। তাই দিনে দিনে টিভি চ্যানেল গুলো পিছিয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষায় ইন্টারনেটের ব্যবহার
বর্তমানে যেকোন দেশের শিক্ষার আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমানে শিক্ষাভিত্তিক অনেক ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে, প্রতিনিয়ত হচ্ছে ফলে সাইটগুলো ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে উপকৃত হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হলে প্রথমে একটি কম্পিউটার বা স্মার্ট ডিভাইস দরকার। কোনো শিক্ষার্থী পড়ালেখায় কোনো একটা বিষয় বুঝতে না পারলে সে যদি ইন্টারনেটে সেটি অনুসন্ধান করে সঙ্গে সঙ্গেই সেটা পেয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারের গুরুত্ব
প্রাথমিক শিক্ষায় ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে, কোন ছাত্র যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে শিখতে চায়, জানতে চায় সে ইন্টারনেটে তা খুঁজে নিতে পারে। এ জন্য বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের পাশাপাশি অত্যন্ত দক্ষ সার্চ ইঞ্জিনও তথ্য প্রযুক্তিবিদরা তৈরি করেছেন। বর্তমানে সার্জ ইঞ্জিন গুলো ব্যবহার করার খুব সহজ হয়ে গিয়েছে। নিজে মাতৃভাষা মাঝে আপনি যে কোন কিছু সার্চ করতে পারবেন। তবে এ সার্চ ইঞ্জিনগুলো ব্যবহার করার জন্য ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। গণিতের অত্যন্ত চমৎকার কিছু সাইট রয়েছে, যেখানে গণিতের যে কোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়। বিজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হাতে-কলমে দেখার জন্যও সাইট রয়েছে।
ইন্টারনেট কি কি কাজে লাগে ?
১. ই-মেইলে যে কোন ফাইল, ডকুমেন্ট ও ছবি পাঠাতে ও গ্রহণ করতে পারি।
২. ঘরে বসে অফিসের সকল কাজ কর্ম করতে পারি।
৩. ঘরে বসে ভিডিও সভা (ভিডিও কনফারেন্স) করতে পারি।
৪. বিভিন্ন দেশের লাইব্রেরির লাখ লাখ বই-পুস্তক, জার্নাল ও ম্যাগাজিনের সন্ধান পেতে পারি এবং পড়তে পারি।
৫. তথ্য খুঁজতে পারি, তথ্য সংগ্রহ করতে পারি, তথ্য পাঠাতে পারি।
৬. কেনাকাটা করতে পারি, অনলাইনে যেকোন পণ্যের অর্ডার দিতে পারি।
ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা
ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা
যেকোন তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা রয়েছে । নিচে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহারের পাঁচটি সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো
১.তথ্যের সহজলভ্যতা
ইন্টারনেটের সাহায্যে কম পরিশ্রমে সহজে যেকোন তথ্য বিস্তারিত যাবতীয় জেনে নেওয়া যায়। ইন্টানেট ছাড়া আর অন্য কোনো মাধ্যম থেকে এতসহজে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব নয় ।
২. বিনামূল্যে তথ্য সংগ্রহ
বিভিন্ন বইপত্র কিনে লাইব্রেরী বা গবেষণাগারে নিয়মিত যাতায়াত করে ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহ করা বিপুল অর্থব্যয় ও সময় সাপেক্ষ। হয়ে থাকে যা ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত অনেক কম। খুব সামান্য অর্থ ও সময় ব্যয় করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব।
৩. সকল প্রশ্নোত্তর
যেকোন কাজের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আপনার মনে কোন প্রশ্ন জাগলে অনেক সময় ইন্টারনেটে সেই প্রশ্ন লিখে সার্চ করলেও সরাসরি উত্তর পাওয়া যায়। যা আমাদের সময় এবং সাশ্রয় করে থাকে। এখন আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে ইন্টানেটে সার্চ করে দেখতে পারেন।
ইন্টারনেট ব্যবহারের অসুবিধা
এটি ব্যবহার করে যেমন সুবিধা ভোগ করি তেমনী অনেক অসুবিধা রয়েছে যেগুলো আমাদের বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিতে ও ব্যবহার করতে হবে। যেমন—
১. নির্ভরযোগ্যতা
ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলির যথার্থতা বা নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করা খুবই কঠিন। একই বিষয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পৃথক পৃথক তথ্য থাকায় পাঠক বা গবেষকদের বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
৩. গবেষণার মান হ্রাস
ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন অসত্য বা অর্ধসত্য তথ্য ব্যবহার করতে গিয়ে পাঠক ও গবেষকগণ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ফলে গবেষণার গুণগত মান কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
৪. তথ্যের অসম্পূর্ণতা
বহু ক্ষেত্রে ইন্টারনেটে বই বা গবেষণার অংশবিশেষ পাওয়া যায়। এর পূর্ণাঙ্গ কাজটি পাওয়া না যাও য়ায় পাঠক ও গবেষকগণ নানা সমস্যার সম্মুখীন হন।
ইন্টারনেট কি, কাকে বলে?
মূলত ইন্টারনেট শব্দটির উৎপত্তি হয় ইথারনেট (Ethernet) থেকে। ইন্টার (Enter) অর্থ “ভিতরে” আর নেট (Net) অর্থ “জাল”। ইন্টারনেট বলতে সংযুক্ত নেটওয়ার্ক তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগের সহজ পদ্ধতি। যেমন বলা যায় বেশি কিছু বা অসংখ্য কম্পিউটার কে তার এর মাধ্যমে একেওপরের সাথে যুক্ত করে তথ্য আদান-প্রদান করার পদ্ধতিকে ইন্টারনেট বলা হয়। ইন্টারনেট হচ্ছে বিশ্বের অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিরাট নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
আপনার মূল মান মতামতটি আমাদের জানান। আমি শালীন ভাষা ব্যাবহার করবো এবং অশ্লীল ভাষা ব্যাবহার থেকে বিরত থাকবো। কৌণিক বার্তা.কম আপনার আইপি অ্যাড্রেস ব্লকের ক্ষমতা রাখে।
comment url