ভোটাধিকার অনুচ্ছেদ | Suffrage onucched

ভোটাধিকার বলতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সরকার গঠিত করার জন্য জনগণের যে ভোট দেওয়ার অধিকার তাই ভোটাধিকার। রাষ্ট্রের জনগণের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনে সরকান গঠিত হয়ে থাকে।

ভোটাধিকার

ভোটাধিকার অনুচ্ছেদ, ভোট, Vote, suffrage
ভোটাধিকার

বিষয়ঃ অনুচ্ছেদ ভোটাধিকার

শ্রেণিঃ Class 3 4 5 6 7 8 9 SSC HSC JSC

ভোটাধিকার এর ইংরেজি শব্দ Suffrage ল্যাটিন শব্দ Suffragium থেকে ভোটাধিকার শব্দ উৎপত্তি। ভোটাধিকার বলতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সরকার গঠিত করার জন্য জনগণের যে ভোট দেওয়ার অধিকার তাই ভোটাধিকার। রাষ্ট্রের জনগণের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনে সরকান গঠিত হয়ে থাকে। জনগণ তাদের ভোটাধিকার নির্বাচনের মাধ্যমে প্রয়োগ করে থাকে। পৃথিবীর বেশির ভাগ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বাংলাদেশের মতো জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। দেশের শাননব্যবস্থা গণতান্ত্রিক হলে সকল নাগরিকের ভোটাধিকার থাকে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিকের সমান ভোটাধিকার থাকে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যে কোন আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে জনগণের অংশগ্রহণের সমান সুযোগ রয়েছে, যা জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে কার্যকর করে থাকে। ভোটাধিকার অর্থৎ অধিকার ভোটিং, সংবিধা ও রাজনৈতিক এর মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যবস্থা সরকার বা নেতা গঠনের জন্য যে পদ্ধতি নির্বাচন করা হয় তা ভোটাধিকার।

বিশ্বের প্রথম নাগরিকদের ভোটাধিকার দেওয়ার দেশ নিউজিল্যান্ড। ১৮৯৩ সালে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের প্রথম ভোটাধিকার প্রদান করে। আর সমস্ত নাগরিক পুরো ভোটাধিকার দেওয়া বিশ্বের প্রথম দেশ ফিনল্যান্ড। আধুনিক জাতি-রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা লাভের উদ্দেশ্যে গঠিত রাজনৈতিক দলের উদ্ভবের ফলে ঐতিহ্যগত নির্বাচন পদ্ধতির রূপান্তর ঘটেছে। নির্বাচন এখন গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ। ত্রয়োদশ শতকে ইংল্যান্ডে সংসদীয় ব্যবস্থা গড়ে ওঠার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়া সূচিত হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন নির্বাচনী আইনের (যেমন ১৬৯৪ সালের ট্রিনিয়্যাল অ্যাক্ট এবং ১৭১৬ সালের সেপ্টেনিয়্যাল অ্যাক্ট) মাধ্যমে এর নিয়মিতকরণ সম্পন্ন হয় এবং উনিশ শতকে পরপর প্রণীত সংস্কার বিলগুলির আওতায় ভোটাধিকারের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হয়। ১৮৭২ সালে গোপন ব্যালট পদ্ধতি প্রবর্তিত হয় এবং অবশেষে ১৯২৮ সালে সর্বজনীন ভোটাধিকারের বিধান চালু হয়।

বাংলাদেশ ১৯৭০ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ ভোটাধিকার পায়। রাষ্ট্র ও সরকার এক নয়। রাষ্ট্র ও সরকারের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো রাষ্ট্র স্থায়ী, অপর দিকে সরকার অস্থায়ী। পৃথিবীর প্রতিটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন ঘটে। আবার এমন কিছু রাষ্ট্র রয়েছে, যেখানে জনবিপ্লবের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করা যায়। সরকার রাষ্ট্রের শুধু একটি উপাদান।

নির্বাচনের মূল বিষয় হচ্ছে কারা ভোট দিতে পারবে।সাধারণত সমগ্র জনসমষ্টিই নির্বাচকমণ্ডলী হয় না। উদাহরণস্বরূপ, বহু দেশই মানসিকভাবে অসমর্থদের ভোটদান থেকে বিরত রাখে, এবং সব দেশের আইনেই ভোট দেওয়ার একটা ন্যূনতম বয়স প্রয়োজন। ভোটাধিকার সচরাচর কেবলমাত্র সেদেশের নাগরিকদেরই থাকে। এর বাইরেও আরও কিছু সীমারেখা আরোপ করা যেতে পারে। কোন ব্যাক্তি যদি বাংলাদেশ নাগরিক না হয় তাহলে সে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত থাকবে। সে যে দেশের নাগরিক সেই দেশের ভোটাধিকার তার থাকবে। কিছু দেশে আবার ভোটাদান আইনগত ভাবে বাধ্যতামূলক, যদি কোনো যোগ্য ভোটার ভোট না দেন তবে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। হতে পারে সামান্য জরিমানাও।




অনুচ্ছেদ

অনুচ্ছেদ হলো কোন একটি মূল বক্তব্যকে সম্প্রসারিত করে লেখার কয়কেটি পরস্পর সম্পকিত বাক্যের সমষ্টিই অনুচ্ছেদ। কোন একটি নিদিষ্ট চিন্তা/ধারণা বা বিষয়কে কতগুলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বাক্যের সাহায্যে প্রকাশ করাই হলো “অনুচ্ছেদ লিখন”।


সবগুলো #

এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

Next Post Previous Post
মন্তব্যগুলো দেখান
মন্তব্যগুলো যোগ করুণ

আপনার মূল মান মতামতটি আমাদের জানান। আমি শালীন ভাষা ব্যাবহার করবো এবং অশ্লীল ভাষা ব্যাবহার থেকে বিরত থাকবো। কৌণিক বার্তা.কম আপনার আইপি অ্যাড্রেস ব্লকের ক্ষমতা রাখে।

comment url