ঘরোয়া উপায়ে, ঠান্ডা সর্দি-কাশির উপশমে কী খাবার খাওয়া উপকার

 

ঘরোয়া উপায়ে, ঠান্ডা সর্দি-কাশির উপশমে কী খাবার খাওয়া উপকার
ঠান্ডা সর্দি-কাশির উপশমে কী খাবার খাওয়া উপকার
যখন কোন ঋতু পরিবর্তন হয় তখন অনেকের ঠান্ডা, সর্দি-কাশি লেগে যায়। এমন এখন বাংলাদেশ শীতকাল থেকে ঋতু পরিবর্তন হবে কিছু দিনের মধ্যে তখন অনেকের এই ঠান্ডা সর্দি-কাশি ও ফ্লুজনিত সমস্যায ভোগেন। একটি সাধারণ বিষয় কিন্তু একেই বারে সাধারণ বিষয় বলে যে এর কোন সমস্যা করবেনা তেমটা কিন্তু। অবশ্যই আমাদের এই সময় সাবধানে থাকতে হবে। শীতকালে ঘরে ঘরে এসব সমস্যা দেখা দেয়। ঠান্ডাজনিত এসব সমস্যার কারণে গরম পানির ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। তবে গরম পানির সঙ্গে কিছু খাবার যুক্ত করলে পুষ্টি উপাদান যেমন বাড়ে, তেমনি এগুলো ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়াতে সহায়তা করে।

এই পোস্টে সেই সকল বিষয় নিয়ে কথা বলবো চলুন, এমন কিছু খাবারের বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

ডাবের পানি

ঠান্ডা-জ্বর ও কাশির সময় কিন্তু শরীরে পানিশূন্য হয়ে পড়ে এতে করে আনেক সমস্যায় হতে পারে। তাই আমাদের উচিত বেশি বেশি করে পানি পান করা বা ডাবের পানি পান করা এতো পানিশূন্যতা অনেক কমবে। শরীর আর্দ্র রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ ডাবের পানি খেতে হবে।

গরম স্যুপ

ঠান্ডা-জ্বর বা সর্দি-কাশির সময় গরম স্যুপ অত্যন্ত আরামদায়ক। ঠান্ডা জ্বর লাগলে মুখের স্বাদ কমে যায়, কোন খাবার বা পানি খেতে ভালো লাগেনা, তখন গোলমরিচসহ সবজি বা চিকেন স্যুপ খেলে স্বাদও ফেরে, আরামও পাওয়া যায়। গরম স্যুপ শ্বাসনালীতে জমে থাকা মিউকাস দূর করতেও সহায়তা করে। গরম স্যুপ হতে পারে শিশু ও বয়স্কদের জন্য একটি পুষ্টিকর ও উপকারী খাবার। এটি খেলে অনেক আরামদায়ক লাগবে।

কালিজিরা ও রসুনভর্তা

প্রচুর ঠান্ডা জ্বর বা নাক বন্ধ হলে কালিজিরা ও রসুনভর্তা অনেকে উপকারী খবার। প্রথমত কালিজিরা ও রসুন অল্প আঁচ করে পত্রে টেলে নিয়ে বাটতে হবে এবার সরিষার তেল ও লবণ মিশিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে খেতে হবে। রসুন ও কালিজিরায় থাকা উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং ঠান্ডা-জ্বর ও সর্দি-কাশি উপশমে সাহায্য করে থাকে। এটি আপনার জন্য অনেক উপকারী।

পুদিনা চা

পুদিনা চা হতে পারে আপনার সমস্যার সমাধান। পুদিনাপাতা দিয়ে তৈরি পেপারমিন্ট চা ঠান্ডা ও সাইনাসের উপসর্গ উপশমে সহায়ক। পুদিনা একটি ঔষধি গুণ শ্বাসনালী প্রশান্ত করে ও মাইগ্রেনের ব্যথা কমায়। ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা ও সারাদিন সতেজ থাকতে গরম পুদিনা চা খেতে পারেন। 

মসলা চা

যদি আপনার গলা খুসখুসে ভাব হয়, তাহলে আদা, তেজপাতা ও লবঙ্গ দিয়ে ফুটিয়ে মসলা চা করে খেতে পারেন এটা দারুণ কার্যকর। মসলা চায়ে সামান্য পরিমাণ মধু মিশিয়ে পান করলে গলার ব্যথা ও অস্বস্তি কমে যায়। আদা ও মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টি–ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি–ইনফ্ল্যামেটরি গুণাগুণ সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ও সবজি

বিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং অনুজীবের আক্রমণ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। শীতকালে বা শীতের শেষেও বাজারে যেসব ফল পাওয়া যায় তার বেশিরভাগই ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল। এ সময় কমলা, মাল্টা, পেয়ারা, টক জাতীয় ফল খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। যাতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে আর সুস্থ রাখে।

এখন পর্যন্ত সে সকল নিয়ে আলোচনা করেছি সবগুলো ঘরোয়া ও পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খেলে ঠান্ডা, সর্দি-কাশির উপশম হবে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।

এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

Next Post Previous Post
মন্তব্যগুলো দেখান
মন্তব্যগুলো যোগ করুণ

আপনার মূল মান মতামতটি আমাদের জানান। আমি শালীন ভাষা ব্যাবহার করবো এবং অশ্লীল ভাষা ব্যাবহার থেকে বিরত থাকবো। কৌণিক বার্তা.কম আপনার আইপি অ্যাড্রেস ব্লকের ক্ষমতা রাখে।

comment url